রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
খাবারের দাওয়াত না দেওয়ায় এক শিক্ষককে লাথি ও কিল-ঘুষি মারেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ (শরীয়তপুর) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার কর্মীরা। এ ঘটনায় কলেজের শিক্ষার্থীদের একাংশ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে কলেজ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের প্রিয় সোহেল স্যারকে লাথি ও কিল ঘুষি মেরে লাঞ্ছিত করেছে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। তাই ওই নেতাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করেছি। ওই হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
অভিযোগের বিষয়ে সোহাগ বেপারী বলেন, শিক্ষককে লাথি, কিল, ঘুষি মারার অভিযোগ সত্যি নয়। আমি কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারি।
উল্লেখ, বুধবার কলেজের বাংলা বিভাগের স্নাতক সম্মান (অনার্স) চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। মৌখিক পরীক্ষা শেষে কলেজের বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের খাবার-দাবারের আয়োজন করা হয় ও শুভেচ্ছা জানানো হয়। কেন ছাত্রলীগ নেতাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি তা জানতে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক রাশেল জমাদ্দার কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে বাংলা বিভাগে আসেন। সেখানে তাঁরা বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিএম সোহেলকে এ বিষয়ে জবাবদিহি করতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন ছাত্রলীগ নেতাদের। তখন সোহাগ ব্যাপারী বিএম সোহেলকে লাথি, কিল ও ঘুষি মারেন। অন্য শিক্ষকেরা এসে বিএম সোহেলকে উদ্ধার করেন।